Are you looking to find a Martial Arts School around you? Try dojos.info. There are over 30 thousand Martial Arts Schools that you can search by location, style, name etc. For Canada, see dojos.ca and dojos.com.au for Australia.
For Martial Arts Schools in UK, try UK's Dojo Directory.
‘যৌতুক’ বাঙালি সমাজের এক অতি পুরনো ব্যাধি। একসময়ে বাঙালি হিন্দু-সমাজে যৌতুক ছিল ‘স্ত্রীধন’ অর্থজ্ঞাপক। বাঙালি মুসলিম-সমাজে বিশ শতকের আগে বরপক্ষের দাবি ও বধূ-নির্যাতনের ঘাতকরূপে যৌতুক অথবা বরপণের তেমন অস্তিত্ব ছিল না। কালক্রমে হিন্দু ও মুসলিম উভয় সমাজে যৌতুক প্রচলিত হয়েছে। বাঙালি পিতৃতান্ত্রিক সমাজকাঠামোতে হিন্দু ও মুসলিম ধর্মভিত্তিক নীতি, শাস্ত্র ও বিধানের পার্থক্য ঘুচিয়ে ‘যৌতুক’ আজ একবিংশ শতাব্দীতে ‘যৌতুকের সংস্কৃতি’তে পরিণত হয়েছে। যৌতুক-সংস্কৃতির এই চিত্র বিগত দুই শতকের সাহিত্যিকদের বিভিন্ন রচনায়, সাময়িকপত্র ও সংবাদপত্রে ছড়িয়ে রয়েছে। লেখক এগুলো তীক্ষèভাবে বিশ্লেষণ করে যৌতুক দাবির উদ্ভব, এর বিকাশ এবং এর বিরুদ্ধে জনমত সংগঠনের বিবরণ অনুসন্ধান করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, কন্যাপণের দৃষ্টান্ত ক্রমশ কমে এলেও বরপণের দৌরাত্ম কমেনি। মধ্যযুগীয় বংশকৌলিন্য প্রথার স্থান দখল করেছে ধনকৌলিন্য, শিক্ষাকৌলিন্য ও আভিজাত্যকৌলিন্য। শিক্ষার বিস্তার ও সামাজিক অগ্রগতি সত্ত্বেও যৌতুকপ্রথা ‘যৌতুক-সংস্কৃতি’তে রূপান্তরিত হয়েছে। যৌতুকবিরোধী আইন হয়েছে, কিন্তু যৌতুক বন্ধ হয়নি। লেখক বাংলাদেশের ৩০ বছরের সংবাদপত্র পর্যালোচনা করে এবং বাংলাদেশের নারী জাগরণের পথিকৃৎ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্মস্থান পায়রাবন্দে জরিপ পরিচালনা করে এই সিদ্ধান্ত টেনেছেন যে যৌতুক-বিরোধী আইন বাংলাদেশের সকল নারীর যৌতুক নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য হলেও বাস্তবে এর তেমন প্রয়োগ নেই। তাই ‘বধূ’ বা নারী নির্যাতন সমাজে ব্যাপক মাত্রায় রয়েই গেছে। বাঙালি সমাজে ও পরিবারে বধূ-নির্যাতনের এই ঘটনা অতিপুরনো হলেও চিরনতুনরূপে কিভাবে যৌতুকের আশ্রয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে এই পুস্তকে তার সূত্র অনুসন্ধান করা হয়েছে। যৌতুক বিষয়ক এই গবেষণা-পুস্তকটি লেখকের পিএইচ.ডি থিসিস। পুস্তকটি সমাজকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবীসহ সচেতন নাগরিকদের বিশেষ প্রয়োজন মেটাবে তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। মালেকা বেগম (জ. ১৯৪৪) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট নারী নেত্রী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স (১৯৬৫), এমএ (১৯৬৬), এবং সমাজবিজ্ঞানে এমএ (১৯৬৮) ডিগ্রি অর্জন করেন। “যৌতুক: বাংলা সাহিত্য ও সমাজে প্রতিফলন” বিষয়ে গবেষণা করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদিকা ও সহ-সভানেত্রী হিসাবে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেছেন ২২ বছর (১৯৭০-১৯৯২)। নারী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ হিসাবে তিনি বেইজিং বিশ্বনারী সম্মেলনের (১৯৯৫) পূর্বে ও পরবর্তীকালে বাংলাদেশের নারীর উন্নয়ন, সমতা ও শান্তির লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের সাথে যুক্ত আছেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন্স স্টাডিজ বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক। তাঁর লেখা বইয়ের সংখ্যা ২২। বিভিন্ন সময়ে তিনি পাক্ষিক সচিত্র সন্ধানী ও পাক্ষিক প্রকৃতি-র নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউপিএল থেকে প্রকাশিত তাঁর অন্যান্য গ্রন্থ বাংলার নারী আন্দোলন (১৯৮৯) এবং যুগ্ম লেখক হিসাবে আমি নারী: তিনশ বছরের বাঙালি নারীর ইতিহাস (২০০১)।